ক্রাইম রিপোর্ট ডেস্ক :সিলেটের বিশ্বনাথে মায়ের হাতে দেড় বছরের শিশুকন্যা খুনের ঘটনা ঘটেছে। শিশুটির নাম আরুহি রানী দে।
সে উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের দত্তপুর দীঘলি গ্রামের বাকপ্রতিবন্ধী সুমন কুমার দের মেয়ে।
সোমবার সকালে বসতঘরের দরজা ভেঙে মা-মেয়েকে উদ্ধার করে অজ্ঞান অবস্থায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠালে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু আরুহি দেকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে বিকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করেছেন থানার ওসি শামছুদ্দোহা পিপিএম। পরে সন্ধ্যায় সিলেট ওসমানী হাসপাতাল থেকে মা-সীমা রাণী দেকে (২৫) আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আর লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কাঞ্চন চক্রবর্তী জানান, সোমবার সকাল আনুমানিক ১১টার সময় খুন হওয়া আরুহি দের পরিবারের লোকজন বারবার ফোন দিয়ে তাকে ওই বাড়িতে নেন। তিনি সেখানে উপস্থিত হলে পরিবারের লোকজন বলেন সীমা রাণী দে এখন পর্যন্ত দরজা খুলেনি। অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পর স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে তারা ঘরে প্রবেশ করেন। এ সময় মা ও মেয়েকে মশারির ভেতরে অজ্ঞান অবস্থায় দেখে তারা দ্রুত সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু ওইদিন রাতে তার স্বামী বাজার থেকে বাড়িতে গিয়ে দরজায় ডাকাডাকি করলেও দরজা খুলেনি সীমা রাণী। পরে অন্য একটি ঘরে রাত্রিযাপন করেন তার স্বামী সুমন কুমার দে।
বিকালে ওসমানী হাসপাতাল থেকে শিশুকন্যার মৃত্যুর খবর আসলে থানার এসআই লিটন রায় সেখানে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট করে লাশটি মর্গে পাঠান। লাশের গলায় একটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে এসআই লিটন রায় জানান।
সুরতহাল রিপোর্ট শেষে সন্ধ্যায় মা সীমা রাণী দেকে ওসমানী হাসপাতাল থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যান এসআই।
এ ব্যাপারে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দোলাল আকন্দ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েকে খুনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন মা সীমা রাণী দে। তবে কী কারণে তাকে খুন করা হয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি।
Leave a Reply